মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাকে গালি ও হুমকির ভিডিও ভাইরাল


নিজস্ব প্রতিবেদক : মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং নিয়ে বামুন্দি জোনাল অফিসের এজিএমকে মোবাইল ফোনে হুমকি দিয়ে গালিগালাজ করেছেন এক ইউপি সদস্য। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে।
ভিডিওতে বামুন্দি জোনাল অফিসের এজিএমকে মারধর করার হুমকিসহ এলাকা ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দিতে দেখা গেছে। এ বিষয়ে নিরাপত্তা চেয়ে এবং এর বিচারের দাবিতে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন ওই কর্মকর্তা।
জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল গাংনীর মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাজাহান আলী তার এলাকায় সেহরি, ইফতার ও তারাবি নামাজের সময় বিদ্যুৎ বন্ধ না করতে বামুন্দি জোনাল অফিসের এজিএম হানিফ রেজার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। কথা বলার একপর্যায়ে ইউপি সদস্য শাজাহান আলী উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং বিভিন্নভাবে গালিগালাজ করেন। সেই সঙ্গে অফিস থেকে তুলে নিয়ে মারধর করার হুমকি দিতে থাকেন। কথোপোকথনের ভিডিওটি শাজাহানের সঙ্গে থাকা লোকজন ফেসবুকে পোস্ট দিলে তা ছড়িয়ে পড়ে। এনিয়ে এলাকায় নানা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
অনেকেই বলছেন- জনপ্রতনিধি হিসেবে তিনি যা করেছেন তা মাস্তানি ও আইনবিরোধী। ওই ইউপি সদস্যকে আইনের আওতায় নেওয়ার দাবিও জানিয়েছে বিভিন্ন মহল।
ইউপি সদস্য শাজাহান আলী বলেন, আমি জনগনের স্বার্থে অনেক কিছু করতে পারি। এজিএমকে প্রথমে ভালো কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উত্তেজনাকর কথাবার্তা বলা হয়েছে। তবে আমার জায়গা থেকে আমি যা করেছি তা ঠিক করেছি। আমাদের এলাকা পুরাতন মটমুড়া ইউনিয়নে সেহরি, ইফতার ও তারাবি নামাজের সময় হলেই বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হয়।


মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুতের বামুন্দি জোনাল অফিসের সহকারি জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) মো. হানিফ রেজা বলেন, শাজাহান মেম্বার আমাকে মোবাইল করেই অনেক বাজেভাবে গালিগালাজ করেছেন এবং মারধর করার হুমকি দিয়েছেন। এ বিষয়ে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি এবং আমার নিরাপত্তা ও আইনি সহায়তা চেয়ে বুধবার থানায় একটি জিডি করেছি।
মটমুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল আহম্মেদ বলেন, ইউপি সদস্য শাজাহান আলীর যে ভিডিও প্রকাশ হয়েছে তা অনেকটা আবেগ প্রবণ ও দুজনের ভুল বোঝাবুঝি। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) আবু রায়হান বলেন, একজন মানুষ বা গ্রাহক তার দাবির কথা জানাতেই পারেন। তবে সেই চাওয়া যদি হয় কারও জীবনের হুমকি, সেটা খুবই দুঃখজনক। আমরা যারা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে চাকরি করি, তারা ২৪ ঘণ্টা সেবা দেই। শাজাহান মেম্বার যা করেছেন, তা ঠিক করেননি। আমরা তার বিরুদ্ধে আইনি সহায়তা চেয়ে থানায় জিডি করেছি।