চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালে দালালের ১০ দিনের কারাদন্ড


চিত্তরঞ্জন সাহা চিতু-  চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিয়ান চালানো হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর ১২ টা থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শামীম ভুইয়ার নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে রুবেল হোসেন (২৮) নামের এক দালালকে আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত রুবেল হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভুলটিয়া গ্রামের মৃত রেন্টু মিয়ার ছেলে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুর ১২ টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভুইয়ার নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহসীন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাসপাতালে দালাল বিরোধী অভিয়ান চালান। এসময় দালালী করে রোগীর কাছ থেকে টাকা নেয়ার সময় তাকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট শামীম ভুইয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতে রুবেল হোসেনকে ১০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম ভুইয়া বলেন, সদর হাসপাতালে দালালদের কারনে রোগী ও তাদের স্বজনরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। আমাদের কাছে এমন অভিযোগের শেষ নেই। সদর হাসপাতালকে দালাল মক্ত করতে এখন থেকে যে কোন সময় অভিযান চালানো হবে।
এদিকে, অভিযান দেখে সদর হাসপাতাল থেকে অনেক দালালকে কৌশলে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। শুধু কি তাই, সাজাপ্রাপ্ত রুবেল হোসেন নিজেকে হাসপাতালের স্টাফ পরিচয় দেয়। তার কাছ থেকে একটি আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। যেখানে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের লোগোসহ নাম ব্যাবহার করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে রুবেল হোসেনকে ওই কার্ড দিয়েছে আস্থা প্রকল্পের আশরাফুল। তিনি চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়াড় স্কুলপাড়ার সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে বলে নিজেকে পরিচয় দেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আতাউর রহমান মুন্সী, সদর হাসপাতালের সিনিয়র সার্জারী কনসালটেন্ট ডা. ওয়ালিউর রহমান নয়ন, শিশু কনসালটেন্ট ডা. আসাদুর রহমান মালিক খোকন।