আলমডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ অভিযান তিন কসমেটিকস ব্যবসায়ীকে জরিমানা ও তরমুজ বাজারে তদারকি

এন এইচ শাওন
মেয়াদ উত্তীর্ণ ও নকল কসমেটিক রাখার অপরাধে আলমডাঙ্গাতে ভ্রাম্যমান অভিযানে ৩ ব্যবসায়ীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা ।
গতকাল রবিবার দুপুর ১২টা থেকে ২ টা পর্যন্ত অভিযান চালায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, চুয়াডাঙ্গার সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ সজল আহমেদ। বেলা ১২ টার দিকে সহকারী পরিচালক প্রথমেই অভিযান শুরু করেন আলমডাঙ্গা জুতা পট্টির সৌখিন কসমেটিক্সে। সেখানে তিনি শিশুদের জন্য প্রচুর সুদৃশ্য লিপিস্টিক দেখতে পান।
পণ্যগুলো উপস্থিত দর্শকদের সামনে তুলে ধরে তিনি বলেন, এই পণ্যগুলোর উৎপাদন তারিখ, মেয়াদ, প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান -কিছুই লেখা নেই। তার মানে এগুলো নকল এবং এগুলো ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর। মেয়াদোত্তীর্ণ ও নকল পণ্য রাখার অপরাধে সৌখিন কসমেটিকসের মালিক মোঃ আলমগীর হোসেনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। একই অপরাধে সমাহার কসমেটিকস এর স্বত্বাধিকারী মোঃ রুবেল হোসেনকে ৫ হাজার টাকা ও জিসান কসমেটিকস এর মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এরপরে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করা হয় তরমুজের হাটে। অবস্থা বেগতিক অনুমান করে জনৈক তরমুজ বিক্রেতা ৫শ টাকা তরমুজের দাম কমিয়ে বলেন ৩শ টাকা। ভ্রাম্যমাণ অভিযানে উপস্থিত সকলকে বড় বড় তরমুজ কেনার কথা বললে ক্রেতাগণ হুড়মুড় করে একের পর এক বড় বড় তরমুজ কিনতে থাকেন ৩শ টাকা দিয়ে। বাকি তরমুজ বিক্রেতাদের তিনি সাবধান করে দেন।


তিনি বলেন, কেজি দরে কিনলে, কেজি দরে বিক্রি করবেন। পিস হিসেবে কিনলে পিস হিসেবে বিক্রি করবেন। কেউ গলাকাটা দাম নেয়ার চেষ্টা করবেন না। কেউ দ্রব্য সামগ্রী কিনে প্রতারিত হলে ভোক্তা অধিকারকে অবগত করবেন। মনে রাখবেন, লঙ্ঘিত হলে ভোক্তা অধিকার, অভিযোগ করলেই পাবেন প্রতিকার।